Research


গবেষণা যখন
প্রবন্ধে লিখন


প্রবন্ধমালা





উনবর্ষ
পৃথিবী তার আপন কক্ষপথের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে অর্থাৎ ৩৬৫.২৪২১৯৯ দিনে সূর্যকে ১ বার প্রদক্ষিণ করে এবং এই সময়কে বলা হয় সৌর বছর । এক্ষেত্রে ৩৬৫ দিনে ১ বছর ধরে হিসাবের সুবিধার্থে জ্যতির্বিদরা প্রতি ৪র্থ বছরে ১ দিন যোগ করে ৩৬৬ দিন ধরে ভগ্নাংশ দিনের বিন্যাস সাধন করেন। খ্রিস্টাব্দে এই ৪র্থ বছরের নাম লিপইয়ার বা অধিবর্ষ এবং এই বাড়তি দিনটি ফেব্রুয়ারি মাসে যোগ করে মাসটি ২৮ দিনের পরিবর্তে ২৯ দিন ধার্য হয়।
তবে হিসাবের গড়মিলটা কিন্তু রয়েই গেল। ১৫৮২ খ্রিঃ এ ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরী তৎকালীন বিখ্যাত জ্যতির্বিদ ক্লাভিয়াস এর সহায়তায় ৪ বছরের পরিবর্তে ৪০০ বছরের একটা আবর্তনকাল নিয়ে পরীক্ষা করেন। প্রতি ৪ বছরে ১টি লিপইয়ার ধরলে ৪০০ বছরে লিপইয়ার হয় ৪০০÷৪=১০০টি। মুলত ৪০০ বছরের জন্য লিপইয়ারে যে অতিরিক্ত দিনগুলি পাওয়া যায়, তা হল ০.২৪২১৯৯*৪০০=৯৬.৮৭৬ প্রায় ৯৭ দিন। অর্থাৎ ৪০০ বছরে ১০০টি লিপইয়ার না ধরে ৯৭টি লিপইয়ার ধরলে সমস্যার সমাধান হয়। সিদ্ধান্ত হল শতাব্দী সাল ছাড়া যে সমস্ত সাল ৪ দ্বারা বিভাজ্য সেগুলি হবে লিপইয়ার এবং শতাব্দী সাল যেগুলি ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সে গুলিই হবে লিপইয়ার। এর ফলে প্রথম ৪০০ বছরের মধ্যে শতাব্দী সাল ১০০, ২০০ ও ৩০০ সালকে লিপইয়ার থেকে বাদ দিয়ে সাধারন বছর হিসেবে ধরা হল এবং ৪০০ সাল লিপইয়ার রইল, এমনিভাবে পর্যায়ক্রমে চলবে। অর্থাৎ প্রতি ৪০০ বছরে ১০০টির পরিবর্তে ৯৭টি লিপইয়ার হচ্ছে।
তবে গড়মিলটা এবারও রয়ে গেল। জ্যতির্বিদ ক্লাভিয়াস ৪০০ বছরে ৯৭টি লিপইয়ার ধরে সৌরবছরে স্থিরতা বিধানের চেষ্টা করলেন। অথচ প্রতি ৪০০ বছরে ৯৭-৯৬.৮৭৬৯=০.১২০৪ দিন বেশী ধরা হচ্ছে। এই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রাংশ দিনগুলির সঞ্চায়ন ঠিক ১ দিন হবে ৪০০÷০.১২০৪=৩৩২২.২৫৯২ বছরে অর্থাৎ ৩৩২২ বছর ৩ মাস ৩ দিন ৬ ঘণ্টায় অথবা ৩৩২২ সালে ১ দিন বেশী হবে। সূর্যের চারদিকে আপন কক্ষপথের যে স্থানে এলে পৃথিবীর ১টি বছর শেষ হবার কথা ৩৩২২ সালে পৃথিবী আপন মেরুদণ্ডের উপর আর ১ বার পাক খেয়ে সেই স্থান থেকে আরও কিছুটা এগিয়ে পড়বে, যা ১টি পূর্নাঙ্গ দিনের সমান। অর্থাৎ ৩৬৪ দিনে ৩৩২২ সাল বা ঐই বছরটি শেষ হবে। সাধারন ৩৬৫ দিনের বছর ১ দিন বেড়ে ৩৬৬ দিন হলে লিপইয়ার বা অধিবর্ষ বলা হয়, তেমনি ১ দিন কমে ৩৬৪ দিনের বছরটিই “মাইনর ইয়ার বা উনবর্ষ”
উনবর্ষে ফেব্রুয়ারি মাস হবে ২৭ দিন, যে উনবর্ষ হবে ৩৩২২ বছর পর পর। অর্থাৎ ১ম উনবর্ষ হবে ৩৩২২ খ্রিঃ, ২য় উনবর্ষ ৬৬৪৪ খ্রিঃ, ৩য় ৯৯৬৬ খ্রিঃ ......... এভাবে পর্যায়ক্রমে।
নিরিবিলি, মাদারিপুর│ ২.১১.২০০৬ খ্রি.





সময় পরিভ্রমন
“There ware young lady named Bright
Whose speed was far faster then light.
She went out one day
In a relative way.
And returned the previous night”

জর্জ গ্যামোর এই লিমেরিকটি অত্যান্ত দুর্বোধ্য, এমনটাকি আসলে বাস্তবে সম্ভব ?
সময় পরিভ্রমন ব্যাপারটা হল আলাদা ডাইমেনশন বা মাত্রা । এই পৃথিবীতে আমরা একটি ত্রিমাত্রিক জগতে বাস করি । ১৮৯৫ সালে টাইম মেশিন উপন্যাসে প্রথম সময় ভ্রমন অর্থ্যাৎ চতুর্থ মাত্রার কথা বলার কয়েক বছর পর ১৯০৫ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তার Special Theory Of Relativity তে এই চতুর্থ মাত্রায় সময়ের ব্যাখ্যা করেন । আইনস্টাইনের আপেক্ষিক বাদের সূত্র অনুযায়ী, গতীশীল কোন বস্তুর গতিবেগ যতই বাড়ে, ততই মন্থর হয়ে যায় তার সময়কাল । যেমন একটা চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের ঘড়ি, রেল লাইনের পাশে যারা স্থির দাড়িয়ে আছে তাদের তুলনায় ধীরে চলবে, তবে এক্ষেত্রে ধীরে চলার মাপটা অত্যান্ত সূক্ষ্ম । আবার যদি কাউকে (ট্যাকিয়নের গতি সম্পন্ন) রকেটে করে পাঠিয়ে দেয়া হয় হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরের কোন নক্ষত্রলোকে, পুনরায় একই গতিবেগে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে দেখা যাবে মহাকাশযানে ওই যাত্রীরা যখন ৬৫ বছর অতিক্রম করবে ততক্ষনে পৃথিবীতে ৪৫ লক্ষ বছর কেটে গেছে ।
আপেক্ষিকতাবাদের আরেকটি শর্ত হল আলোর গতিবেগই (সেকেন্ডে ৩০০০০০ কি. মি.) হল চরম গতিবেগ অর্থ্যাৎ মহাবিশ্বে এর চেয়ে গতিশীল আর কিছুই নেই । অথচ ব্লাকহোলের মুক্তিবেগ ৩০০০০০ কি.মি. এর চেয়েও বেশি । সবচেয়ে কম যে গতিবেগে কোন বস্তুকে নিক্ষেপ করলে বস্তু মধ্যাকর্ষনের টান উপেক্ষা করে বেরিয়ে যাবে তাকে মুক্তিবেগ বলে । তাই আলোও বের হয়ে যেতে পারেনা ব্লাকহোল থেকে । প্রসঙ্গত এসে যায় ব্লাকহোলের কথা, যেখানে আছে চতুর্থ মাত্রার অস্তিত্ব । আইনস্টাইন ও তার সতীর্থ নাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধন প্রকাশ করেন, তাতে ব্লাকহোলকে বর্ননা করা হয়েছে এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে যোগাযোগের সেতু হিসাবে । ব্লাকহোলের মধ্যে দেশ ও কালের কোন অস্তিত্ব নেই, যাকে বলা হয় স্পেস টাইম সিংগুলারিটি । দেশ কালহীন এই জায়গায় আগে-পরে বলে যেমন কিছু নেই তেমনি উপর-নিচ বা সামনে পিছনে এ কথাগুলোও অর্থহীন, আর এখানেই রয়েছে সেই চতুর্থমাত্রিকতা ।
চতুর্থমাত্রায় গিয়ে সময় ভ্রমন কি সত্যিই সম্ভব? কারন, ধরা যাক টাইমশিনে চেপে একজন অতীতে গিয়ে তার পিতামহকে খুন করল, এক্ষেত্রে অতীতে গিয়ে যদি কেউ তার পিতামহকে খুন করে, তবে তার বাবার জম্মই অসম্ভব অর্থ্যাৎ তার কোন অস্তিত্বই থাকছে না । এখানে সৃষ্টি হচ্ছে এক হেয়ালির, তবে সমান্তরাল বিশ্বের অস্তিত্বে বিশ্বাসী যে সব বিজ্ঞানী, তারা বলেছেন এটা কোন হেয়ালি নয় । ব্যক্তিটি তার পিতামহকে মেরেছে ঠিকই, কিন্তু এটা তার নিজের পিতামহ নয় । সমান্তরাল বিশ্বে তার পিতামহের যে হুবহু কপি রয়েছে, সে খুন করেছে তাকেই । ঠিক এভাবেই সময় ভ্রমন নিয়ে যত হেয়ালি আছে এদের সমাধান করা সম্ভব । আর সময় ভ্রমনের যন্ত্রটা যদি উপন্যাসের টাইমমেশিন হয় তবে তার গতিবেগ হতে হবে আলোর গতিবেগ থেকে সবচেয়ে বেশী ।
বিজ্ঞানীরা এখন আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন মৌলকনার কথা বলেছেন । কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী ড. জেরাল্ড ফায়েনবার্গ ১৯৬৭ সালে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন এই কনার নাম রাখেন ট্যাকিয়ন । এখন ট্যাকিয়নের মত গতিসম্পন্ন কোন রকেট যদি তৈরী করা যায় তবে জর্জ গ্যামোর সেই লিমেরিকটির মতই ঘটবে ব্যাপারটা । ট্যাকিয়নের গতিতে চলাফেরা করে ডাইমেনশনের পরিবর্তন করে অতিসহজেই ঘুরে বেড়ানো যাবে অতীতের সময় গুলোতে ।
৪০৮/ডি, ঢাকা│ ২.০৭.২০০৮ খ্রি.





মাদারিপুর সমিতি

মাদারিপুর সমিতি (১৯১০খ্রিঃ)
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন পরিচালনার জন্য “আনুশীলন সমিতি” (পুলিন বিহারীদাশ) ও “যুগান্তর সমিতি”(যতিন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়) এর মত পূর্ণচন্দ্র দাশ ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে “মাদারিপুর সমিতি” প্রতিষ্ঠা করেন। এ সমিতি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে বিপ্লবিক আন্দোলন পরিচালনা করে। মাউজার পিস্তল, বোমা ও সাদা মুখোশ ব্যাবহার করা হত। ১৯১২খ্রিঃ পূর্ণচন্দ্র দাশ এর নেতৃত্বে মাদারিপুর সমিতি পাঁচটি বড় বড় গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত করে।
পূর্ণচন্দ্র দাশ ছিলেন সমিতির প্রধান ব্যাক্তি ও আদর্শ। ১৮৮৫খ্রিঃ রাজৈর থানার সমাজ ইশবপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজের লেখাপড়া পরিত্যাগ করে ১৯১০খ্রিঃ ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী দল মাদারিপুর সমিতি গঠন করেন। সমিতিতে আরও সাতাশজন বিপ্লবী তরুন ছিলেন। এদেরমধ্যে অন্যতম ছিলেন স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ, চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত প্রমুখ। চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী ১৮৯৬খ্রিঃ রাজৈর থানার খালিয়া গ্রামে এবং নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ১৮৯৫খ্রিঃ ও মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত ১৮৯৮খ্রিঃ খৈয়ারভাঙ্গা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। মাদারিপুর হাই স্কুল-এর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সৈারেন চৌধুরী (ডাবল এম.এ.) বিপ্লবী ছাত্রদের প্রশ্রয় দেয়ায় চাকরিচ্যুত হন এবং পরবর্তীতে বরিশাল বি.এম. কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯১৩খ্রিঃ ফরিদপুর ষড়যন্ত্র মামলায় পূর্ণচন্দ্রসহ মাদারিপুর সমিতির প্রায় সদস্যরা গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচ মাস জেল খাটেন।
পরবর্তীতে পূর্ণচন্দ্র দাশ কলকাতায় গিয়ে জোরেসোরে কাজ শুরু করলে সিংহপুরুষ যতিন্দ্রনাথের সাথে পরিচয় ও গভীর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ১৯১৫খ্রিঃ গোয়েন্দা অফিসার নীরদ হালদারকে গুলি করে হত্যা করেন। চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী মিনিটে ৩৬০টি গুলি ছোড়ার কৃতিত্বে বাঘাযতিনের নিকট পুরস্কৃত হন। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫খ্রিঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন দিবসে পুলিশ ইন্সপেক্টর সুরেশ মুখার্জীকে হত্যা করেন। ১৯১৫খ্রিঃ ৯ই সেপ্টেম্বর উরিস্যার বালেশ্বর জেলায় বুড়িবালাম নদীর তীরে ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। বালেশ্বরের ট্রেঞ্চযুদ্ধে মাদারিপুর সমিতির সদস্যরা বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে। বিপরীতপক্ষে চার্লস টেগার্ট, কমান্ডার রাদারফোর্ড, জেলা মেজিস্ট্রেট কিলডি সহ অসংখ্য সশস্ত্র পুলিশ ও সামরিক বাহিনী। নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত(২০) ও মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত(১৭) ইংরেজদের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং ৩রা ডিসেম্বর বালেশ্বর জেলে তাঁদের ফাঁসি হয়।
যুদ্ধে যতিন্দ্রনাথ গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে পূর্ণচন্দ্র দাশ হতাশাগ্রস্থ হয়ে কলকাতায় সমিতির সকল সদস্যদের অন্যতম বিপ্লবী নেতা অতুকৃষ্য ঘোষের নেতৃত্বে অর্পন করেন। পূর্ণচন্দ্র ১৯১৪খ্রিঃ ভারত-রক্ষা আইনে ধৃত হয়ে ১৯২০খ্রিঃ পর্যন্ত জেলে আটক থাকেন। পরে তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নবগঠিত ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯৪০খ্রিঃ পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৪৬খ্রিঃ মুক্তি পান। তিনি জেলে মোট ২৭ বছর আটক ছিলেন। ২ বছর পলাতক অবস্থায় ছিলেন। তিনি ৩৩ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম পূর্ণ-অভিনন্দন কবিতাটি তাকে উৎসর্গ করেন এবং কবিতায় তাকে মাদারিপুরের মর্দবীর বলে সম্মোধন করেন। দেশ বিভাগের পর দলীয় রাজনীতি ত্যাগ করেন এবং কলকাতায় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন বোর্ডের সদস্য হয়ে বাস্তুহারাদের কল্যাণে তৎপর হন। ১৯৫৬খ্রিঃ বালিগঞ্জে সুবোধ নামে এক প্রাক্তন বিপ্লবীর ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু ঘটে। সমিতির আরেক সদস্য বিনোদ দাশ পরবর্তীতে প্রণব সাধনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গোরক্ষপুরের মহাযোগী গম্ভীরনাথজীর নিকট দীক্ষিত হন এবং আচার্য স্বামী প্রণবানন্দ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯১৭খ্রিঃ বাজিতপুরে একটি সেবাশ্রম গঠন করেন, ১৯২১খ্রিঃ সুন্দরবনে “ভারত সেবাশ্রম সংঘ” এবং ১৯২৪খ্রিঃ গয়া সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪১খ্রিঃ মাত্র ৪৫বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিরিবিলি, মাদারিপুর│ ১৩.০৯.২০১৩ খ্রি..